পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ`রীরে জ্বর থাকায় করোনাভাইরাসেআ,ক্রান্ত সন্দেহে স্বামী পরিত্যক্তা মানসিক ভারসম্যহীন এক নারীকে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে স্বজনরা।
তার নাম রেনিস বেগম মালা (৪২)। তিনি ওই গ্রামের মৃ’ত নুর হোসেন হাওলাদারের মেয়ে।
রবিবার রাতে রাঙ্গাবালী উপজে’লার উনিশ নম্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে কা’টান মালা।
সোমবার সকালে উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা মো. মাশফাকুর রহমান এবং রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্ম’দ ওই নারীকে উ’দ্ধার করে খাবারসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং তার সৎ ভাই মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদারের হাতে তুলে দেন।
স্বজনরা জানান, এরপর কোনো বোনের বাড়িতেই মাথা গোজার ঠাঁই হয়নি। এমনকি ভাইর ঘরেও জায়গা হয়নি থাকার। স্বজনদের ধারণা, মালার শ`রীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাই জ্বরে উঠেছে। এ কারণে করোনাভাইরাস আতঙ্কে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন তারা।
এ ব্যাপারে মালার সৎ ভাই মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘মালা আমা’র ছোট বোন। ও ঢাকার উত্তর মুগদাপাড়ায় থাকত। এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে রাঙ্গাবালী এসে উনিশ নম্বর গ্রামের বোনের বাড়িতে ওঠে।
মূলত স্বামীর সঙ্গে দূরত্বের পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মালা। রাঙ্গাবালীতে এসে জ্বরে পড়ে ও। করোনাভাইরাসের ভয়ে সেখান থেকে তাকে পাঠিয়ে দেয় আরেক বোনের বাড়িতে।
ওই বাড়িতে যাওয়ার পর আমা’র ভাগ্নে করোনার ভয়ে তাকে রাস্তার ওপর রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে আমি গিয়ে তাকে আমা’র বাড়িতে আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ভাড়া বাড়িতে থাকি। আমা’র বাড়িওয়ালা করোনাভাইরাসের ভয়ে তার বাড়িতে উঠাতে দেয়নি।’
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্ম’দ জানান, তিনি মালার সৎ ভাই জসিম উদ্দিন হাওলাদারকে খবর দিয়ে আনেন এবং তার হাতে মালাকে তুলে দেন। মালা বর্তমানে তার হেফাজতে রয়েছে।
উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনে মালাকে উ’দ্ধার করে তার খাবারের ব্যবস্থা করা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে হা*সপা*তালে পাঠানো হবে।
সূত্রঃ সমকাল